Facebook


প্রতারনার নতুন ফাঁদ dolancer.com
টাকা আত্মসাতের নতুন মাধ্যম।
ড্যুল্যান্সার নিয়ে অনেকের অনেক মত.. আসুন নিয়ে কিছু জেনে নেই..
আমার এই ডকুমেন্ট যদি কেউ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে তাহলে তাকে লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
.
.
dolancer.com
এর বয়স নাকি ১২ বছরঃ
আসুন দেখি এর বয়স কত.?
আপনারা নিজেরাও দেখুন প্রতারকদের বয়স কত।

এই লিঙ্ক গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন এদের website এর বয়স কত?
http://who.godaddy.com/whois.aspx?domain=dolancer.com&prog_id=GoDaddy

ডাহা একটা মিথ্যা কথা। এই সাইটের ডোমেইন কেনা হয়েছে GoDaddy থেকে, রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ২০ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে। হালনাগাদ করা হয়েছে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে। হোস্টিং কেনা হয়েছে SoftLayer নামক সস্তা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
Hosting company address:
SoftLayer Technologies, Inc.
4849 Alpha Road
Dallas, TX 75244
.
এই কোম্পানির জন্ম হয়েছে ঢাকার মিরপুরের জনৈক ব্যক্তি MD RUKON U AHAMMED এর ঔরসে। এই প্রতারক আমেরিকার ঠিকানা ব্যাবহার করে তার প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে!
আরেকটা বিষয় ভাবুন, সদস্য ফি ১০০ ডলার। অথচ সেটা নেওয়া হয় বাংলাদেশি টাকায় ৭০০০ টাকা। ইউএস ডলাদের বর্তমান বাজার দর ৮৩ টাকা, সেই হিসেবে ১০০ ডলার হওয়ার কথা ৮৩০০ টাকা! বাকি টাকা কি প্রতারক সাহেব তার পকেট থেকে দেন? আরেকটা বিষয়, এই সাইটের ৯৯.% ভিজিটর বাংলাদেশ থেকে..
.
.
আয়-রোজগারঃ
.
আপনাকে দৈনিক ১০০টি (সম্ভবত) লিংক/এড দেওয়া হবে। আপনি সেই লিংকগুলোতে ক্লিক করবেন। প্রত্যেক ক্লিকে পাবেন সেন্ট, ১০০ ক্লিকে ডলার। সেই হিসেবে মাসে ৩০ ডলার, সেটা দিয়ে আপনি আপনার এক মাসের কিস্তি শোধ করবেন। কিস্তি শোধ করার পর আপনি নিজের পকেটে টাকা তুলতে পারবেন। থাকবে আপনার ধৈর্য.? Freelancing এর নামে এটা কোন ধরনের প্রতারণার ব্যবসা তারা চালিয়ে যাচ্ছে?

freelancing
কি.?
ফ্রীলান্সিং (Freelancing) বলতে, মুক্ত বা স্বাধীনভাবে কাজ করার মাধ্যমকে বুঝায়। এক্ষেত্রে বলা চলে ফ্রীলান্সাররা কিন্তু কারো কাছে কুক্ষিগত নয়, এবং কখনও হতেও পারে না। ফ্রীলান্সাররা দেশ বিদেশের সকলের সাথে কাজ করে সম্পূর্ণ নিজের স্বাধীনতায়..
অথচ যারা ড্যুল্যান্সার করেন তাদের ID খুলতে হয় একজন আরেকজন নিচে পড়ে.. তারা তাদের এই প্রতারণার freelancing কে multi-level (MLM) পদ্ধতিতে চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের উঠতি প্রজন্ম তাদের প্রতারণার ফাদে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
টাকার মোহে পড়ে আমরা অন্ধ হয়ে যাচ্ছি না তো !!!
.
ড্যুল্যান্সার নিয়ে কিছু কথা..
তারা বলছেন যে তারা নাকি পৃথিবীর সর্ববৃহত্ আউটসোর্সিং এবং চুক্তি যুক্ত কোম্পানী,
“ The world’s largest outsourcing & Website leasing marketplace! ”.
এত বড় মিথ্যা কথা কিভাবে বলেন? আপনারা যদি সত্যিই বড় হতেন তাহলে আপনাদের প্রমান কোথায়? সবচেয়ে বড় বোকামী হচ্ছে আপনাদের সাইট থেকেই তো বলা হয়ে যে এখনো কোন প্রজেক্ট শেষই হয় নাই। সাথে এও বলা আছে কেবল মাত্র ১৫টা প্রজেক্ট বয়েছে আপনাদের হাতে। তাহলে এটা কত বড় freelancing নেটওয়ার্ক বলবেন কি.?
.
এর পাশেই আবার কোটেশন করেছেন
“The unreal is more powerful than the real, because nothing is as perfect as you can imagine it. Because its only intangible ideas, concepts, beliefs, fantasies that last. stone crumbles. wood rots. people, well, they die. but things as fragile as a thought, a dream, a legend, they can go on and on.””
এটা কোন দেশের ইংরেজি ভাষা? আমেরিকার কোম্পানি অথচ প্রতিটি লাইনে syntax ভুল আছে। আপনারা যদি কেউ ভুল গুলো বুঝতে পারেন তবে চুপ থাকলেই ভাল। কারন প্রতিটি লাইনের যদি ভুল ধরি তাহলে বেশি বলা হয়ে যাবে। কেউ কেউ আবার আমাকে বলবেন যে কই থেকে যে এসব পাগল এর আবির্ভাব হয়..
.
সাইটে ১২ বছর সাফল্যের লোগো লাগিয়েছেন!

অথচ, Freelancer.com এর থীম এবং লগইন রেজিষ্টার এর সোর্সকোড এডিট করে তাদের dolancer.com সাইট বানানো হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে।
আপনারা যদি এত বড় কোম্পানী হয়ে থাকেন তবে কেন আপনাদের সাইটের প্রায় প্রোজেক্টগুলো নিম্ন মানের.? ১২ বছরের একটা কোম্পানীতে মাত্র ১৫টা প্রোজেক্ট.!!!!
সাইটের প্রোজেক্ট দেখুন ভাল করে!
Dolancer ID sale, rate$100.
আমার ফ্রীলান্সিং ক্যারিয়ারে কোন দিনও দেখি নাই কোন ফ্রীলান্সিং সাইটে তাদেরই আইডি বিক্রয় করা হয়। আচ্ছা ফ্রীলান্স করবো তাতে সাইটের কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হবে কেন? ওডেক্স, ফ্রীলান্সার, স্ক্রীপ্টল্যান্, ইল্যান্স, রেন্ট কোডার্, গেট কোডার, গুরু সহ বিশ্বের বড় বড় সাইটগুলোতেও কি টাকা নেয় নাকি রেজিষ্ট্রেশন বাবদ? আমার জানা নাই! তারা কি তাদের চেয়েও বড় ফ্রীলান্সিং ষাইট?
.
ভাল কথা টাকা নেন। এবার প্রোজেক্টের ভিতরে যাই:
প্রতিটি ফ্রীলান্স সাইটের নিয়মে আছে ব্যক্তিগত যোগাযোগ এর মাধ্যম দেয়া পুরোপুরি অবৈধ. ধরা পড়লে আইডি সাময়িক সাসপেন্ড অথবা আজীবন মুছে দেয়া হয়। এবং দুপক্ষের যোগাযোগ একমাত্র প্রোজেক্ট জয় লাভ করার পরেই হয়ে থাকে, এটাই সমীচিন। কিন্তু, এখানে দেখছি প্রকাশ্যে বায়ার এবং প্রোভাইডার তাদের যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে বেড়াচ্ছেন।এরা কোন ধরনের ফ্রীলান্সিং নিয়মনীতি অনুসরন করে এই প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন?
এর দ্বারা কি বুঝতে বাকী থাকে যে কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ছাড়াও তারা কাজ দিচ্ছেন। ফলে কর্মীরা প্রতারিত হবার সুযোগ ১০০% |
টাকা দিয়ে আইডি- নিবো আবার প্রতারিত হবো, বাহ! অসম্ভব প্রতারনার ফাঁদ.!!!
তাদের এ্যাবাউট আস পেজ লিখা আছে যে, তারা আমেরিকান একটি প্রতিষ্টান। যদি তা- হয় তবে বাংলাদেশে এভাবে প্রকাশ্যে লিজিং ব্যবসা করছেন তাদের অফিস কোথায়। কে বা কারা এর লিজ হোল্ডার। তাদের নিয়ে তো সাইটে কোন কিছুই বলা নাই। শুধুই বলা হয়েছে বাংলাদেশেও আছে। আমি তো দেখলাম তাদের ৯৯.% সদস্য বাংলাদেশী.
শুধুই বলা হয়েছে বাংলাদেশেও আছে
ভাওতা বাজি ছাড়া আর কিছুই না। আমেরিকায় যদি তাদের প্রতিষ্টান হয়েও থাকে এবং তারা যদি ১২ বছর সফল হয় তবে তাদের ডোমেইন এত নতুন কেনো. আচ্ছা বুঝলাম তাদের বাংলাদেশে নতুন সাইটের কম। কিন্তু, আমেরিকার মত দেশে আজ থেকে ২০বছর আগেও যদি কোন প্রতিষ্ঠান প্রকাশ হয় তবে তাদের সাইট ছিল। সেই হিসাবে ডুলান্সারের আমেরিকান সাইট কোথায়.? সত্যিই ভৌতিক ব্যাপার সেপার.

মাঝে মাঝে পেজ রিফ্রেসিং পাবেন ইরোর বার্তা।
সাইট হ্যাং হয়ে পড়বে।
.
এতা গেল সাইটের বাহিরের সমস্যা। একটু ইনটারনাল বিষয়গুলোও দেখুন না:
.
সাইটটা কোড-ইগনিটার পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্কে করা। নভিস কোডিং। এবং অবশ্যই কোয়ালিটি নাই।
এসকিউএল ইনজেক্ট করা যায় -
আউটপুট:

A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined variable: pName
Filename: project/viewAllProjects.php
Line Number: 20
.
এই হল সাইটের স্ট্রাকচার এর বহাল অবস্থা। যে সাইট দিয়ে তারা কাজ প্রদান করছেন তার এই বেহাল দশা দেখে সত্যি হাসি পায়.
ডুল্যান্সারের প্রথম এবং জনপ্রিয় সার্ভিস হচ্ছে পিটিসি বা Paid To Click যার জন্য আপনাকে ১০০ ডলার দিয়ে সুবিধা নিতে হবে। আচ্ছা ঠিক আছে আপনি নিলেন এদেরকে $১০০ দিয়ে পিটিসি সুবিধা টি। এখন আপনাকে ওরা একদিন ১০০ টি এড ক্লিক করার সুবিদা দিবে। একটি এড ক্লিক করলে সেন্ট আপনার একাউন্টে জমা হবে। একদিনে হয়তো আপনি ঠিক মত সব গুলো এডএ ক্লিক করলে ডলারের মত পাবেন। এবার আসা যাক ডলার পাওয়ার জন্য আপনার কত সময় এবং টাকা খরচ হল।
এড ক্লিক করতে হলে আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট লাগবে। তার জন্য ৪০০ টাকা বা এর কাছাকাছি টাকা মাসে দিতে হবে আপনাকে। তার পর একটি সাইট লোড হতে ৩০ সেকেন্ড থেকে মিনিট সময় লাগবে। আবার এড ক্লিক করে আপনাকে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। অর্থা আপনাকে ১০০টি এড ক্লিক করার জন্য প্রায় ঘন্টা সময় দিতে হবে প্রতিদিন তার জন্য আপনি পাচ্ছেন মাত্র ডলার। আচ্ছা, আপনি তাও পেলেন। ডলার করে আপনি মাসে মাত্র ৩০ডলার পেলেন। কিন্তু আপনি ওদের টাকা দিয়েছেন ১০০ ডলার মানে হচ্ছে আপনার নিজের টাকা তুলতেই লাগবে মাসের বেশি। আর বাকি পরিশ্রম গোল্লায় গেলো। তার উপর আপনার মাসিক নেট বিল তো আছেই। এসব সাইটে সময় দেওয়া মানে নিজের ক্ষতি নিজেই করা. এভাবে প্রত্যেক এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারপর একদিন দেখা যাবে যে কোম্পানি উধাও!!